দুর্গাপূজার ছুটির মধ্যেও বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতে ইলিশ রপ্তানি প্রক্রিয়া এবং পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত চালু রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু’ট্রাক ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। একই দিনে দুই দেশের মধ্যে মোট ১,৫০১ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করেছেন।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন বেনাপোল রুটে এই বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাতায়াতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়। পূজার ছুটির কারণে এদিন অন্যান্য আমদানি বন্ধ থাকলেও ২ ট্রাক ইলিশের রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে দুই দেশের একের পর এক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে আমদানি-রপ্তানি ও পাসপোর্টধারী যাতায়াত অর্ধেকে নেমে এসেছে, যার ফলে ব্যবসায়ীরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
বেনাপোল বন্দর মৎস্য ও মাননিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসাওয়াদুল ইসলাম জানিয়েছেন, পূজার মধ্যে তাদের অফিস খোলা আছে এবং বিশেষ নির্দেশনায় ইলিশের ট্রাক ভারতে প্রবেশ করতে পারবে।
ইমিগ্রেশন সূত্র অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত শুরু হয়। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মোট ১,৫০১ জন যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেছেন ৮৯১ জন এবং ভারত থেকে ফিরেছেন ৬১০ জন। ভারতে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে ৫৯৬ জন বাংলাদেশি এবং ২৯৫ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। সূত্র আরও জানায়, ৫ আগস্টের পর ভিসা জটিলতায় পাসপোর্টধারী যাতায়াত কমে গেলেও পূজা উপলক্ষে যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
এদিকে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, চলতি মাসের ২৪ সেপ্টেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত রেলপথে ভারত থেকে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। এছাড়াও গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ঢাকা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী রেল চলাচলও বন্ধ রয়েছে।