নীলফামারী ডোমার উপজেলার অন্যতম ব্যস্ত সড়ক বসুনিয়াহাট রোড এখন যেন দুর্ভোগের আরেক নাম। বড় বড় গর্ত, ভাঙা পিচ আর জমে থাকা পানিতে রাস্তাটি পরিণত হয়েছে চলাচল অনুপযোগী এক কর্দমাক্ত পথে। প্রতিদিনই এই পথে পা রাখছে শত শত মানুষ, কিন্তু প্রতিটি পদক্ষেপে জড়িয়ে আছে ঝুঁকি আর কষ্টের গল্প।
এই সড়কটি ডোমার উপজেলা সদর থেকে বসুনিয়াহাট, বোড়াগাড়ীসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নগুলোর প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষক, দিনমজুর, ব্যবসায়ী- সবারই নির্ভরতা এই রাস্তাটির ওপর। অথচ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে রাস্তাটির অবস্থা এখন প্রায় “মৃতপ্রায়”।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ আক্ষেপ করে বলেন,
বর্ষা এলে রাস্তা কাদা হয়ে যায়, শুকনো মৌসুমে ধুলায় চোখ খোলা যায় না। মোটরসাইকেল বা ভ্যান নিয়ে চলতে গেলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ভয়।
অন্যদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ী লাজু ইসলাম জানান,
আগে যেখানে ১০ মিনিটে বাজারে যাওয়া যেত, এখন লাগে ৩০ মিনিট। পণ্যের পরিবহন খরচও বেড়ে গেছে, ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে প্রতিদিন।”
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বহু বছর আগে রাস্তাটিতে পিচঢালাই করা হলেও এরপর আর কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। চার বছর আগে কাজ শুরু হলেও মাঝপথে তা বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। এরপর থেকে আর কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন একাধিকবার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে ছোট ছোট দুর্ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের দাবি,
রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না করলে শিগগিরই এটি পুরোপুরি অচল হয়ে পড়বে।”
তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যেন দীর্ঘদিনের এই ভোগান্তির অবসান ঘটে এবং ডোমারের জনগণ আবার ফিরে পায় তাদের দৈনন্দিন চলাচলের নিরাপদ পথ।