মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
গতকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা ২০ মিনিট থেকে বিকেল পর্যন্ত তার সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। তবে তা অসম্পূর্ণ থাকায় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার অবশিষ্ট সাক্ষ্য ও জেরার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলায় সাক্ষ্য দেবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর এই মামলায় ছয়জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি দেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন এ মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার জেরা সম্পন্ন হয় ৪ সেপ্টেম্বর। তিনি তার জবানবন্দিতে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল বলে দাবি করেন এবং এর জন্য ক্ষমা চান।
গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন এবং বিচার শুরুর আদেশ দেন। এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যেখানে তথ্যসূত্র, জব্দতালিকা, দালিলিক প্রমাণাদি এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মামলার সাক্ষী হিসেবে ৮১ জনের নাম রয়েছে। গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের বিবরণ উঠে এসেছে। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা এসব ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা, কামালসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।