গুয়াহাটিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন সুবহানা মুস্তারি, যা ছিল তার অভিষেক ওয়ানডে অর্ধশতক। আরেক ওপেনার শারমিন আক্তার ৫২ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৩০ রানের একটি উড়ন্ত সূচনা দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। গত ম্যাচে অর্ধশতক করা রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক (৪ রান) ও অধিনায়ক জ্যোতি (০ রান) দ্রুত ফিরে যান। মিডল অর্ডারে স্বর্ণা আক্তার, ঋতু মণি, ফাহিমা খাতুন এবং নাহিদা আক্তার কেউই দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। তবে নবম স্থানে নামা রাবেয়া খাতুন ২৭ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে প্রায় ১৬০ স্ট্রাইক রেটে অপরাজিত ৪৩ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছাতে সাহায্য করেন।
মাত্র ১৭৮ রানের পুঁজি নিয়ে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে লড়াই করা কঠিন হলেও বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ প্রচেষ্টা চালান। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মারুফা আক্তার ইংলিশ ওপেনার এমি জোনসকে (১ রান) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এবং সপ্তম ওভারে টাম্মি বাউমান্টকে (১৩ রান) সাজঘরে ফিরিয়ে দেন। পাওয়ার প্লে'র পর দুই প্রান্ত থেকে স্পিন আক্রমণ শুরু করেন ফাহিমা ও নাহিদা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের রানের গতি কমে আসে।
এরপর ফাহিমা খাতুন ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানেন। তিনি ৩২ রান করা অভিজ্ঞ ব্যাটার নেট স্কাভিয়ার ব্রান্টের সঙ্গে হেথার নাইটের তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন। দ্রুতই সোপি ডানকলি, এমা ল্যাম্ব ও আলিস ক্যাপসিকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে আনে বাংলাদেশ। একশর (৭৮ রানে ৫ উইকেট) আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড বড় ধরনের চাপে পড়েছিল।
তবে, ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক হেথার নাইট একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে রক্ষা করেন। তিনি ১১১ বলে অপরাজিত ৭৯ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। শেষদিকে চার্লি ডিন (অপরাজিত ২৭ রান) তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন। তাদের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ভর করে ইংলিশরা ৪৬ ওভার ১ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
বাংলাদেশের হয়ে ফাহিমা খাতুন ১৬ রান খরচায় ৩টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মারুফা আক্তার ২৮ রানে ২টি এবং সানজিদা আক্তার মেঘলা ২৪ রানে ১টি উইকেট পান।