চীন-নেতৃত্বাধীন বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য জোট ‘আঞ্চলিক সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব’ (আরসিইপি)-এ যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ, হংকং, শ্রীলঙ্কা এবং চিলি।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে এই খবরটি প্রকাশ করেছে ইয়াহু নিউজ।
বর্তমানে আরসিইপি-তে সদস্য হিসেবে রয়েছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি আসিয়ান সদস্য দেশ।
মালয়েশিয়ায় আসিয়ান বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক মন্ত্রীদের সম্মেলনের ফাঁকে আরসিইপি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে নতুন সদস্য গ্রহণে তাদের কোনো আপত্তি নেই। বরং, এই চারটি দেশকে জোটে যুক্ত করার প্রক্রিয়া নিয়ে তারা কাজ করবেন।
ইন্দোনেশিয়ার উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী দিয়াহ রোরো এসতি বিদ্যা পুত্রি সাংবাদিকদের বলেন, “যেকোনো দেশ যদি আরসিইপি-তে যোগ দিতে চায়, আমরা অবশ্যই তা সমর্থন করি।”
মালয়েশিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী তেংকু জাফরুল আজিজ জানান, নতুন সদস্য গ্রহণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী অক্টোবর মাসে। পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো আরসিইপি নেতারা এই সময়ে একত্রিত হবেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত এই বাণিজ্য চুক্তিকে উন্নত ও হালনাগাদ করার বিষয়টি নিয়েও ওই সম্মেলনে আলোচনা হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, আরসিইপি যুক্তরাষ্ট্রের চাপ অথবা শুল্কের বিরুদ্ধে একটি বাণিজ্যিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে, সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন স্বার্থ থাকায় এই জোটের বিধানগুলো তুলনামূলকভাবে দুর্বল—এমন মতও রয়েছে।