দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (USA) বসবাস করছেন একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তমালিকা কর্মকার। বিনোদন জগতের সহকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলেও বর্তমানে তিনি অভিনয় থেকে দূরে আছেন।
সম্প্রতি দুর্গাপূজা উদযাপন এবং অসুস্থ বাবাকে দেখতে তিনি হঠাৎ করেই দেশে ফিরেছেন। পরিবারের সদস্যদের না জানিয়েই বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তাঁর দেশে আসার মূল কারণ ছিল মা-বাবার সঙ্গে পূজা উদযাপন করা এবং তাঁদের দেখতে আসা।
অভিনেত্রী গণমাধ্যমকে জানান, তাঁর দেশে আসার কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না। পূজার আগে বাবার সাথে ফোনে কথা বলার সময় বাবা তাঁকে নিয়ে মণ্ডপে ঘোরার ইচ্ছার কথা জানান। বাবার এই কথা শুনেই তিনি দেশে আসার আকস্মিক সিদ্ধান্ত নেন। ঘনিষ্ঠ দু'জন ছাড়া তাঁর আগমনের খবরটি আর কেউ জানত না।
দেশে ফিরে মা-বাবা এবং নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে দেখে সবাই অত্যন্ত আবেগাপ্লুত হন। তমালিকা কর্মকার জানান, এই ভালোবাসা এবং আবেগ তাঁর কাছে অমূল্য। তিনি মনে করেন, মা-বাবার আশীর্বাদ গ্রহণের জন্য তাঁদের যতটা সময় দেওয়া যায়, ততটাই সন্তানের জীবনের জন্য মূল্যবান। তিনি এই আশীর্বাদ নিতেই দেশে এসেছেন বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, প্রিয় ঢাকায় ফিরলে তিনি সবসময়ই আবেগপ্রবণ হন। তাঁর মতে, ঢাকা শহর পরিবর্তিত হচ্ছে ঠিকই, তবে তাঁর প্রিয় মানুষেরা এখনও আগের মতোই আছেন এবং তাঁরা তাঁকে অনেক ভালোবাসেন।
বর্তমানে সাময়িক ছুটিতে দেশে এলেও অভিনেত্রী জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই তিনি তাঁর কর্মস্থল যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে ফিরে যাবেন।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তমালিকা কর্মকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর স্বামী প্রভীন-কে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনেন। যদিও তাঁদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা কবে, কখন এবং কোথায় হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ঘনিষ্ঠ সূত্রমতে, এই দম্পতি অনেক আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, তবে বিষয়টি তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে চাননি।
অভিনয়ে তমালিকা কর্মকারকে সবশেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে। চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত 'ব্ল্যাংক চেক' নাটকে তিনি আব্দুন নূর সজল-এর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। এরপর থেকে তাঁকে আর কোনো নাটকে দেখা যায়নি।