রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে ৪৪৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪১৭ জন এবং আহত হয়েছেন ৬৮২ জন। নিহতদের মধ্যে ৬৩ জন নারী এবং ৪৭ জন শিশু রয়েছে।
সেপ্টেম্বরে মোট ৪১৭ জন নিহতদের মধ্যে ১৪৩ জন (৩৪.২৯%) নিহত হয়েছেন ১৫১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। এছাড়া, ১১২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬.৮৫ শতাংশ। যানবাহন চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন (১৩.৪২%)।
অন্যান্য যানবাহনে নিহত যাত্রীদের পরিসংখ্যান নিম্নরূপ:
দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৩৬.০৯ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে এবং ৩১.১৬ শতাংশ আঞ্চলিক সড়কে ঘটেছে। গ্রামীণ সড়কে ১২.৭৮ শতাংশ এবং শহরের সড়কে ১৯.৯৫ শতাংশ দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার ধরনের বিশ্লেষণ:
দুর্ঘটনায় জড়িত মোট ৬৬১টি যানবাহনের মধ্যে ভারী যানবাহন (ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ ইত্যাদি) ছিল ২৫.৫৬ শতাংশ, বাস ১৮ শতাংশ এবং মোটরসাইকেল ২৪.০৫ শতাংশ।
দুর্ঘটনাগুলোর ৩০ শতাংশ ঘটেছে সকালবেলা, ২৩.৫৪ শতাংশ রাতে, ২০.৬২ শতাংশ দুপুরে, ১০.৭৬ শতাংশ বিকেলে, ৭.১৭ শতাংশ সন্ধ্যায় এবং ৭.৮৪ শতাংশ ভোরে।
বিভাগগুলোর মধ্যে সর্বাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে (১২৮টি দুর্ঘটনায় ১২৪ জন নিহত)। চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ১৮.৮৩ শতাংশ, এবং সিলেটে ৮.২৯ শতাংশ দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম (৩.৫৮%) দুর্ঘটনায় ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে ৫২টি দুর্ঘটনায় ৪৫ জন এবং রাজধানী ঢাকায় ৪২টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা মাগুরায় (৮টি দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত)।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী ৪৯ জন, ব্যবসায়ী ১৮ জন, থ্রি-হুইলার চালক ও সহকারী ৩১ জন, শিক্ষক ৭ জন, এনজিও কর্মী ৭ জন, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ৬ জন এবং পুলিশ সদস্য ২ জন।
প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে যা উঠে এসেছে: