দেশের বাজারে রুপার দাম আবারও বৃদ্ধি পেল। সর্বশেষ ছয় দফা মূল্য সমন্বয়ের মধ্যে পাঁচবারই বেড়েছে এই মূল্যবান ধাতুর দর। এর মধ্যে টানা চতুর্থ দফায় রুপার দাম বাড়ানো হলো, যার মোট বৃদ্ধি ২ হাজার ১৭০ টাকা। সবশেষ বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়েছে।
বাজুস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে রুপার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন সমন্বয় অনুযায়ী, প্রতি ভরিতে (১১.৬৬৪ গ্রাম) ৩২৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এখন দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪,৯৮১ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে প্রতি ভরি রুপার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া অন্যান্য ক্যারেটের রুপার দাম হলো:
বাজুস জানিয়েছে, রুপার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ক্রেতাদেরকে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির হারে তারতম্য ঘটতে পারে।
এর আগে সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। সেই সময় ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৬ টাকা বাড়িয়ে ৪,৬৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা তখন দেশের সর্বোচ্চ দাম ছিল। তখন অন্যান্য ক্যারেটের দাম ছিল:
চলতি বছর এটি নিয়ে মোট ষষ্ঠবারের মতো রুপার দাম সমন্বয় করা হলো। এর মধ্যে পাঁচবার দাম বাড়ানো হয়েছে এবং একবার কমেছে। গত বছর মোট তিনবার রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল।
এদিকে, একই সঙ্গে স্বর্ণের দামও রেকর্ড উচ্চতায় বাড়িয়েছে বাজুস। প্রতি ভরিতে ৬ হাজার ৯০৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। অন্যান্য ক্যারেটের স্বর্ণের দাম হলো:
চলতি বছর মোট ৬৩ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছে এবং ১৮ বার কমেছে। ২০২৪ সালে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল, যেখানে ৩৫ বার বেড়েছিল এবং ২৭ বার কমেছিল।