রাঙামাটি জেলায় পৃথক দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় মোট তিনজন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় দুই কলেজ ছাত্রসহ এখনও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার লংগদু এবং নানিয়ারচর উপজেলায় এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
লংগদু উপজেলার কাপ্তাই হ্রদে আকস্মিক বাতাস ও ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় চারজন নিখোঁজ হন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিরা গুলশাখালী থেকে লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়নের গাঁথাছড়া এফআইডিসি এলাকায় ফিরছিলেন।
দুর্ঘটনার পর সিরিনা বেগমকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও সালমা বেগম, শিশু রানা, এবং মাসুমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তারা সবাই লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়নের বাসিন্দা। আছির উদ্দীন তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাঙামাটি থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও লংগদু জোনের সদস্যদের সহায়তায় নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় কাপ্তাই হ্রদের শাখা চেঙ্গী নদীতে নৌকাডুবিতে দুই কলেজ ছাত্র নিখোঁজ হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে প্রবল বাতাসের কারণে সাবেক্ষং ইউনিয়নের মহাজনপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনখোলাপাড়া থেকে ছয়জন পাহাড়ি কলেজ ছাত্র শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নানিয়ারচর বাজারের জগন্নাথ মন্দিরে এসেছিলেন। পূজা শেষে নৌকাযোগে শনখোলাপাড়া ফেরার পথে তাদের নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় চারজন ছাত্র সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও ডেলিজেন চাকমা (১৮) ও জিগেশ দেওয়ান (১৮) নামের দুই ছাত্র নিখোঁজ রয়েছেন।
নানিয়ারচর থানার ওসি নাজির আলম জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। সাবেক্ষং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুপম চাকমাও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে নিখোঁজ ছাত্রদের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমীন জানিয়েছেন, লংগদুতে উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ার পর ডুবুরি দল নানিয়ারচরে নিখোঁজ ছাত্রদের উদ্ধারে রওনা হয়েছে।