ডিএনসিসি’র উদ্যোগে বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কবির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা।
বাংলা সাহিত্যের অমর কবি মীর আব্দুস শুকুর আল মাহমুদের স্মৃতিকে চিরজাগরুক রাখতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) গড়ে তুলেছে “কবি আল মাহমুদ পাঠাগার”। মঙ্গলবার গুলশানের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্কে নবনির্মিত এ পাঠাগারের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, কবিপুত্র মীর মোহাম্মদ মনির, কবিকন্যা মীর আতিয়া এবং লেখক-গবেষক আবিদ আজম।
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ
তিনি বলেন, “ঢাকায় জমির সংকটের মাঝেও আমরা ওপেন স্পেসকে মানুষের জন্য অর্থবহ জায়গায় রূপান্তর করতে চাই। পাঠাগার সেই উদ্যোগের অংশ। এসব পাঠাগার শুধু বই পড়ার জায়গাই হবে না, বরং শিশু-কিশোরদের পাঠাভ্যাস গড়ে তুলবে এবং সময়ের সাথে সাথে প্রতিষ্ঠান হিসেবেও বিকশিত হবে।”
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম
“শুধু লাইব্রেরি বানালেই হবে না, বরং এর টেকসই পরিচালনার কাঠামো তৈরি করতে হবে। আল মাহমুদ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি এ দেশের মানুষের জীবনকে কবিতায় অমরত্ব দিয়েছেন।”
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু
“জীবনের ছন্দ কিভাবে অনুভব করতে হয়, তা আমরা কবি আল মাহমুদের কাছেই শিখেছি। তিনি ছিলেন কবি, দার্শনিক ও চিন্তাশীল মানবপ্রেমিক।”
কবিপুত্র মীর মোহাম্মদ মনির
“কবি আল মাহমুদকে ঘিরে রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক স্বার্থসিদ্ধির সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। আমরা পারিবারিকভাবে এ পাঠাগারের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।”
অনুষ্ঠানে বক্তারা একবাক্যে বলেন, কবি আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যের অনন্য রত্ন। তাঁর সাহিত্যকীর্তি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এ ধরনের পাঠাগার হবে এক মহৎ উদ্যোগ।