ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত (এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত) এই যানজট দেখা যায়। এতে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, মহাসড়কটির নারায়ণগঞ্জ অংশের সাইনবোর্ড থেকে বন্দরের মদনপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ ঘণ্টায়ও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নিযানজটের প্রধান কারণ হিসেবে পূজার ছুটি ও অতিবৃষ্টির ফলে সড়কে প্রচুর গাড়ি ও যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই এই চাপ বাড়তে থাকে। এর মধ্যেই, বুধবার সকালে অতিরিক্ত চাপ ও ভিড়ের মাঝে দড়িকান্দি এলাকায় একটি গাড়ি বিকল হয়ে গেলে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
জ্যামে আটকে থাকা ভুক্তভোগী যাত্রীরা তাদের ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন। আশরাফুল ইসলাম নামের এক বাসযাত্রী বলেন, তিনি বেলা ১১টায় কুমিল্লার উদ্দেশে গাড়িতে উঠলেও প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত শিমরাইল মোড় পার হতে পারেননি। তাঁর অভিযোগ, এক ঘণ্টা পরপর গাড়ি সামান্য এগোচ্ছে।
শাফায়েত নামে এক স্কুলশিক্ষার্থী জানায়, পূজার ছুটিতে সে নানুর বাসায় বেড়াতে যাচ্ছিল। দীর্ঘ সময় বাসে বসে থাকার কারণে সে অসুস্থ বোধ করছে।
যানজট নিরসনে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলহাস উদ্দিন জানান, দড়িকান্দি এলাকায় রডবোঝাই একটি গাড়ি বিকল হওয়ায় যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে গাড়িটি সরাতে কিছুটা সময় লাগে। এর পাশাপাশি পূজা উপলক্ষে গাড়ি ও মানুষের কয়েক গুণ চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় যানজট তীব্র হয়। তবে, তাঁর দাবি, বর্তমানে যানজট কিছুটা কমেছে এবং ধীরে ধীরে গাড়ি পারাপার হচ্ছে। তিনি খুব দ্রুত সড়ক স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
একই প্রসঙ্গে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, রাত থেকে বৃষ্টি হওয়ায় এবং গাড়ি ও যাত্রীর দ্বিগুণ চাপের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি জানান, হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা সড়কে অবস্থান করছেন এবং দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন।