গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মন্তব্য করেছেন যে, রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তনের জন্য ভবিষ্যতে আরও একটি গণ-অভ্যুত্থান হতে পারে। তাঁর মতে, সেই অভ্যুত্থানের পর বর্তমানের ভুলকারী কতিপয় নেতৃত্বকে 'সেইফ এক্সিট' খুঁজতে হবে।
রাশেদ খান মনে করেন, বয়স্ক উপদেষ্টারা দুর্নীতিগ্রস্ত নন, তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় অনভিজ্ঞতা এবং রাজনৈতিক জ্ঞানের অভাবের কারণে তাঁরা গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকারের অংশ হয়েও কোনো পরিবর্তন আনতে পারেননি। তিনি উল্লেখ করেন, এই বয়স্ক ব্যক্তিদের গণ-অভ্যুত্থানে কোনো ভূমিকা ছিল না এবং তাঁরা কখনো সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামেননি।
তিনি ছাত্রনেতাদের এই বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রলোভন দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা বানানোর সিদ্ধান্তকে ভুল বলে অভিহিত করেন। তাঁর দাবি, "গণ-অভ্যুত্থানের পরে অদক্ষ লোককে সরকারের উপদেষ্টা বানানোর পুরোপুরি দায় কতিপয় ছাত্র নেতৃত্বের। তাদের ভুল সিলেকশনে এতো বড় গণ-অভ্যুত্থানের পরেও রাষ্ট্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি।"
তিনি আরও বলেন, ছাত্রনেতারা ইদানীং স্বীকার করছেন যে, তাঁদের ওপর বিশ্বাস করে ভুল করা হয়েছে। এই ভুলের খেসারত পুরো জাতিকে দিতে হচ্ছে।
গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা আরেকটি গণ-অভ্যুত্থানের আভাস দিয়ে বলেন, "রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তনের জন্য ভবিষ্যতে আরেকটা গণ-অভ্যুত্থান হলেও হতে পারে।" তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, সেই অভ্যুত্থানের পরে সবচেয়ে বেশি খেসারত দিতে হতে পারে তাদের, যাদের ভুলের কারণে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে।
তাঁর মতে, তখন বয়স্ক উপদেষ্টাদের 'সেইফ এক্সিট'-এর প্রয়োজন হবে না, কারণ প্রাকৃতিক নিয়মেই তাঁরা আর পৃথিবীতে থাকবেন না। তবে, সেইফ এক্সিট খুঁজতে হবে বর্তমানের সেই কতিপয় নেতৃত্বকে, যারা প্রতিনিয়ত ভুল করছে।
পরিশেষে রাশেদ খান বলেন, "তবে কারোরই 'সেইফ এক্সিট' লাগবে না, যদি আগামী পাঁচ মাস কোনো ভুল না করে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সঠিক সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা গণতান্ত্রিক পথে অগ্রসর হতে পারি।"