বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও নবীনবরণ উপলক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় আজ বিকাল ২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগ্রামী সভাপতি এ কে এম রাফি এবং সঞ্চালনা করেন বিপস্নবী সাধারণ সম্পাদক রায়হান রাব্বি।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদা। তিনি হঠাৎ ব্যস্ততার কারণে উপস্থিত থাকতে না পারলেও উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২০১৮ সালের ছাত্র আন্দোলন থেকে শুর করে দেশের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সংগ্রামী সভাপতি জননেতা নুরুল হক নূর।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, "কোনো কালে একা হয়নি জয়ী পুরুষের তরবারি, প্রেরণা যুগিয়ছে শক্তি দিয়েছে বিজয়ালক্ষী নারী।"
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নারীদের অসামান্য ভূমিকা ছিল। ১১ জন নারী শহীদ হয়েছেন, যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রতিবাদ করেছিলেন। শিশু রিয়া গোপ ও শিক্ষার্থী নাইমার নির্মম হত্যাকা- তুলে ধরেন তিনি জানান, জুলাই আন্দোলনে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন অনেক নারী শিক্ষার্থী, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে নাজমুল হাসান বলেন, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আন্দোলনের শুরু থেকে বাংলা ব্লকেড, মিছিলসহ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়কে “ছাত্র রাজনীতির আদর্শ মডেল” হিসেবে থাকবে।।
শহীদ শিক্ষার্থী সাজিদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে জানানো হয়, "চারটি প্রধান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ই একমাত্র যেখানে শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন।"
অনুষ্ঠানে উপস্থিত নারী শিক্ষার্থীদের ভূয়সী প্রশংসা করে বক্তারা বলেন, তারা আজ কেবল শ্রোতা নন, বরং নেতৃত্বের আসনে আসীন হবার জন্য প্রস্তুত। নারী শিক্ষার্থীরা যদি এখনই নেতৃত্বে উঠে আসে, তাহলে গোটা বাংলাদেশ তাদের পাশে দাঁড়াবে। জুলাই আন্দোলনে ১১ জন নারী শহীদ হয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছিলেন।
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সম্মানিত অতিথি, সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীরা এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।